সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এক্সপার্ট হতে হলে যা আপনাকে জানতে হবে

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এক্সপার্ট হতে হলে যা আপনাকে জানতে হবে

সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের  এই লিখায়।
যেহেতু আজকের প্রসঙ্গ:
১) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কেন শিখব?
২) কি লাভ হবে এটা শিখলে?
এই বিষয়গুলো আলোচনা করার পূর্বে আমরা একটু জেনে নিই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও আসলে কি ?

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাজেশন হল অনেকের মধ্যে একটি পদ্ধতি যা কোন সাইট এর সার্চ ইঞ্জিন এর অবস্থান নির্ধারণ করে। অর্থাৎ এটি একটি প্রচারনা মাধ্যম।প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিন এর একটি নির্দিষ্ট অপটিমাজেশন প্রণালী আছে। প্রতিটি সার্চ ইজিন এর জন্য এই নিয়ম অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন। তবে সকলে কিছু জিনিস ব্যবহার করে যা সকল সার্চ ইঞ্জিনে বিদ্যমান।প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য প্রচারণা ব্যবস্থা প্রায় এক হলেও কিছুটা পার্থক্য আছে। আমাদের প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে সেই সমান দিক গুলোকে ব্যবহার করা।

কেন শিখবেন এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন?

ইন্টারনেট মার্কেটিং একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যা কিনা সার্চ ইঞ্জিন (গুগল, বিং, ইয়াহু, এমএসএন ইত্যাদি) থেকে অর্গানিক ভিজিটর সাথে কোয়ালিটি ভিজিটর আনতে সাহায্য করে। যখন মানুষ সার্চ ইঞ্জিনে কোন কি-ওয়ার্ড দ্বারা সার্চ করবে, আর আলটিমেটলি সেই কি-ওয়ার্ডে আপনার সাইট র‍্যাঙ্কে থাকে তখন যে ব্যাপার টা হয়, সেটা আমি একটু ছক আকারে দেখালাম।
SEO Optimized -> Highly Visiable -> More Visitors
আর উপরের ছক থেকে আমরা জানি যে More Visitors -> More Money !
আর মানুষ এই কারনে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখার জন্য পাগল। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন জানা থাকলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রী ভিজিটর যেরকম আনা যায়, সেরকম গুগলকে প্রতি মাসে হাজারের উপর ডলার দেওয়া থেকে বেচে যাওয়া যায়। এক কথায় বলা যায় যে, কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ইনকাম করতে হলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আপনাকে শিখতেই হবে।
একটা উদাহরণ দেওয়া গেলে মনে হয় বেশি ক্লিয়ার হওয়া যেত। যদি আমরা গুগলে যেয়ে সার্চ করি “hotel in helsiniki finland” । তাহলে ২ ধরনের রেজাল্ট দেখতে পারবেন। একটা এসইও অপ্টিমাইজড এবং অপরটি পেইড। নিচে ছবিটাতে একটু লক্ষ্য করে দেখুন প্রথম ৩ টা পেইড রেজাল্ট। এই কী-ওয়ার্ডের সর্ব প্রথম রেজাল্টে আসার জন্য গুগলকে অর্থ প্রদান করতে হচ্ছে। কিন্তু এই ৩টির পর সাধারন সার্চ রেজাল্ট। যার কিনা গুগলকে কোন ধরনের অর্থ প্রদান করতে হচ্ছে না।

এখন হয়তো কেউ বলতে চাইবে “ এটা কিন্তু টপ লিস্টে নাই” ।
আপনার কথা ঠিক আছে। কিন্তু আপনি কি জানেন উপরের পেইড লিস্টে যদি আপনার আপনার ওয়েব সাইট থাকে তবে তার প্রতি ক্লিকের জন্য ১ ডলার করে পে করতে হবে! তো এখন আপনি কি ১ টা ক্লিকের জন্য ১ ডলার পে করতে প্রস্তুত না কি ১০০% ফ্রীতে নিতে প্রস্তুত ?
পেইড মার্কেটিং টা আসলে পছন্দের তালিকায় সবার থাকে না বললেই চলে। কিন্তু কোন না কোন কারনে করতে হয়। আর রিসার্চ করে দেখা যায় যে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন না জানার ফলে তারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
এমনকি যখন কেউ চিন্তা করে যে, আমি একজন মার্কেটার দ্বারা আউটসোর্স করিয়ে নিয়ে কাজ করাব। আমি কি জন্য মার্কেটিং শিখতে যাব? কিন্তু সিদ্ধান্ত এখানেই ভুল !! কারন একজন ভালো মানের মার্কেটাররা বসে থাকে না। তারা কোন না কোন কাজের সাথে যুক্ত থাকে। তখন সে যাকে দিয়ে আউটসোর্স করানোর চিন্তা করে তখন দেখা যায় সে আসলে একজন দক্ষ মার্কেটার না। ফলশ্রুতিতে তাকে পড়তে হয় একটা খারাপ অবস্থাতে। হতে পারে আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিন থেকে পেনাল্টি খেয়েছে বা আপনার সাইট নিয়ে সে স্প্যাম করেছে।
তবে আমরা কোনভাবে বলছি না যে আপনি আউটসোর্স করাবেন না। হ্যাঁ আপনি আউটসোর্স করাবেন, কিন্তু তার জন্য আপনার থাকা চায় সার্চ ইঞ্জিনের উপর যথার্ত জ্ঞান। এতে করে আপনি নিজে আপনার সাইটের মার্কেটিং প্ল্যান নিজের মত সাজাতে পারবেন। আর যখন আপনি প্ল্যান রেডি করবেন তখন ছোট ছোট কাজগুলোকে ভাগ করে নিয়ে আউটসোর্স করাবেন। এতে আপনার টাকা এবং সময় অনেক বেচে যাবে এবং সেই সাথে সাইটের র‍্যাঙ্ক বাড়বে।
মুল কথা আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখেন তবে আপনার জন্য যে কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন অনলাইন আয়ের জগতে। একটা প্রোডাক্ট তৈরি করা থেকে একটা প্রোডাক্ট মার্কেট পাওয়া অনেক কষ্ট। আর আপনি যখন সেই কঠিন কাজটা নিজের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন তখনি আপনি অনলাইন আয়ের জগতে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারবেন।
পেছনের বছরের সাথে বর্তমানকে একটু তুলনা করে দেখুন তো। তুলনা করে দেখুন তো প্রযুক্তি কতটুকু এগিয়েছে? কিন্তু আমরা আসলে এটা দ্বারা বা এই প্রযুক্তি দ্বারা কি বোঝাতে চাচ্ছি। শুধু কি ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানগুলো অসাধারন জিনিস বের করতেছে বা মানুষ এই মহাকাশ থেকে ওই মহাকাশে যাচ্ছে, এটা কে বোঝাতে চাচ্ছি। না এই ধারনাটা একদম ভুল ।
প্রযুক্তি এই সবগুলো সাথে নিয়ে অনলাইন থেকে প্রোডাক্ট বিক্রি, প্রোডাক্ট কেনা, প্রোডাক্টের মার্কেটিং করা। এক কথায় সাধারন জীবন-যাপন যেভাবে চলে সেভাবে চলবে অনলাইনে। আর সেটাকে প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা বলা হচ্ছে। অনলাইন জগত কে আপনি একটা আয়ের প্ল্যাটফর্ম বলতে পারবেন।
তো মুল কথা তে ফিরে যায়। দেখে নিই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখলে কিভাবে লাভবান হবেন।
  • ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।
  • আরওআই বা আপনার বিনিয়োগ ফিরে পাবেন (ROI=Return on Investment)
  • প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগ বাঁচাতে পারবেন।
  • খুব কম বিনিয়োগে নিজের কোম্পানি বা ব্র্যান্ড কে প্রচার করাতে পারবেন।
  • ওয়েবসাইট বিশ্বাসস্থাপন সৃষ্টি করতে পারবেন।
একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার পারেন একটা ব্র্যান্ডকে সবার সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করতে।যখন কোন প্রোডাক্টে সার্চ রেজাল্টে উপরের পজিশনে কারর ওয়েবসাইট থাকে তখন সবাই সেটাকে বিশ্বাস করে। কারন মানুষ গুগলকে বিশ্বাস করে। যার কারনে সবার ভিতর একটা বিশ্বাস আসে ওয়েবসাইটের উপর।  যার ফলে ওয়েব সাইট এর ট্রাষ্ট অথোরিটি টা বেড়ে যায়। এর ফলে প্রোডাক্ট বিক্রি বেড়ে যাবে। এই জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখা যেকারোর জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে সিলেক্ট করবেন কোথায় শিখবেন ? কিভাবে শিখবেন ? এই সব বিষয় নিয়ে পূর্বে লিখেছি। আপনারা সেটা পড়ে আসতে পারেন।
এখন কথা হলো আসলে কি শিখবেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এ এক্সপার্ট হবার এর জন্য? নিচে কিছু জিনিস আমি পয়েন্টআউট করে দেখানো হলো আপনাদের জন্যঃ

কিভাবে সাইটকে পেনাল্টির হাত থেকে বাঁচাতে হয়

সর্ব প্রথম জানতে হবে কিভাবে একটা সাইটকে প্রটেক্ট করতে হয়। আমরা মানুষ তাই সর্বদা সস্তা খুঁজি। কিন্তু আমরা হইত জানিনা এই চিপের ভিতর সবথেকে বেশি ধান্দাবাজি থাকে। যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইট কোন সস্তা এসইও সার্ভিস কোম্পানির কাছে দিবেন তখন তারা আপনি যেরকম সস্তা দামে সার্ভিস দিতে চাইবেন সেইরকম সস্তা কাজ ও করে দেবে। তাদের টার্গেট থাকবে আপনার লক্ষ্য টা কে পুরন করে দেওয়া সেটা যেভাবে সম্ভব। কিন্তু এটাই সবথেকে বড় সমস্যা। কারন তারা রুলস না মেনে কাজ করবে। আর বর্তমানে সার্চ ইঞ্জিন অনেক কড়াকড়ি রুলসের ভিতর চলে। সুতরাং সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনি যেকোনো মুহূর্তে পেনাল্টি খেতে পারেন। আর যেটা আপনি কখন ন্যাচারাল চোখ দ্বারা দেখতে পারবেন না। কিন্তু আপনার সাথে চুক্তি শেষ হওয়ার পড়ে সেটা উপলব্ধি করতে পারবেন। এই জন্য সাইট কে কিভাবে প্রটেক্ট রাখা যায় সেটা জানা শিখতে হবে। তাহলে আপনি কাজের রিপোর্ট নিয়ে তার সাথে রেজাল্ট নিয়ে কম্পেয়ার করতে পারবেন।

ব্যাক্তিগতভাবে সাইট ট্যাকেল দেওয়ার ক্ষমতা

এখন সস্তা বাদ দিয়ে আপনি হোয়াইট হ্যাট এসইও সার্ভিস কোম্পানি থেকে সার্ভিস নিলেন। কিন্তু তাতেই কি আপনার কাজ শেষ হয়ে গেল। তাদেরকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে পেমেন্ট করে আপনি কি বাসাই বসে ঘুম দিবেন বলে চিন্তা করছেন? যদি চিন্তা করে থাকেন তো তবে এবার একটু জেগে উঠুন ? বাসাই এসে আপনার কর্তব্য বর্তমান এলগোরিদম কি ? এসইও কোন দিক থেকে কাজ করতেছে ? এসইও কি আদৌ আসলে কাজ করতেছে সাইট পজিশনে আনার জন্য ? আপনাকে এইসব বিষয় খুজে খুজে বের করতে হবে।

পারফেক্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট তৈরি

যখন আপনি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখবেন, তখন আপনার ভিতর একটা মেন্টালিটি সেটআপ হবে, আপনি নিজে একটা সুন্দর কিছু করার চেষ্টা করবেন। ধরলাম আপনি কোন এজেন্সিকে আপনার কাজটা না দিয়ে নিজে করবেন। কিন্তু যদি নিশ সিলেকশন হাই হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে ভালো একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হবে। তখন আপনি তাকে আপনার টার্গেট, তার কাজ সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিতে পারবেন। এছাড়া আপনি পারফেক্টভাবে তাকে তদারকি করতে পারবেন। সে কোন ধরনের সমস্যার অন্তর্ভুক্ত হলে আপনি তাকে সেখান থেকে মুক্ত পারবেন।

0 comments:

Post a Comment

Next PostNewer Post Home